বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশ দূষণ (Development activities in Bangladesh and environment pollution)

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৫) - ভূগোল ও পরিবেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশের ভারসাম্য | - | NCTB BOOK
20
20

উন্নয়ন সকল দেশের কাম্য। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন হলে তা দেশের জন্য মঙ্গল। স্বল্প শিক্ষা, পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং অধিক লাভের আশায় আমরা পরিবেশকে দূষিত করি। পরিবেশের প্রধান উপাদান হচ্ছে জমি বা ভূমি, পানি, বায়ু এবং বনজ সম্পদ। পূর্বালোচিত উন্নয়নসমূহ পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলোকে কীভাবে দূষিত করে তা আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি। 

                                             ভূমি
  অধিক ফসল উৎপাদন-উর্বরতা হ্রাস → মাটির জৈব উপাদান কমে যায়।   অধিক সার প্রয়োগ -কীটনাশক ব্যবহার -মাটি দুর্বিত হয়ে যায়।   বন, পাহাড় কেটে আবাদি জমি- জমি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে -মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায় ।

ফলাফল : মাটিতে যেসব অণুজীব, ক্ষুদ্রজীব বাস করে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্য ক্ষুদ্র প্রাণীগুলোর আবাসস্থল নষ্ট হয়। দুষিত মাটিতে উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না, ফলে ভূমি মরুকরণ হয়।
 

পানিঃ কৃষিক্ষেত্রে অধিক কীটনাশক সংযুক্ত হয়।  যোগাযোগের যানবাহন থেকে ভেল বর্জ্য সং হয়। শিল্পক্ষেত্রে রং, গ্রিজ, রাসায়নিক দ্রব্য ও ঊষ্ণ পানি সংযুক্ত হয়। আবাসস্থলের বর্জ্য, নদীর পাড় দখল, পানি দূষিত ও নদীর প্রবাজের বাধা সৃষ্টি হয়। পানি দূষিত হয়ে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হয়।

ফলাফল : জनজ ক্ষুদ্র ডিস প্ল্যাংকটন, কচুরিপানা, শেওলা জন্মাতে পারে না। এদের ভক্ষণ করে, যেসব ক্ষুদ্র মাছ তাদের খাদ্যের অভাব হয় এবং বড় মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

                                                 বায়ু
 শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য  পরিবহনের ধোঁয়া  গৃহস্থালির ধোঁয়া  নির্মাণসামগ্রী তথা ইটভাটার ধোঁয়া

ফলাফলঃ এগুলো বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) ও ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC) গ্যাস-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যার ফলে প্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রাকে বৃদ্ধি করছে। পরোক্ষ ফল হিসেবে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে। মাটি অধিক তাপমাত্রা গ্রহণ করছে। ফলে অনেক স্থান উদ্ভিদহীন হয়ে পড়ছে।
                                                                                

Content added By
Promotion